Powered By Blogger

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১১

ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রমাণ করে: মোশাররফ

ঢাকা, ৬ আগস্ট (শীর্ষ নিউজ ডটকম): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দ্যা ইকোনোমিস্ট পত্রিকায় বর্তমান সরকার সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে সমর্থন করে বলেন, ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনই প্রমাণ করে বাংলাদেশে বর্তমানে কেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশ প্রেমিকদের করণীয়' -শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
দ্যা ইকোনোমিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত আওয়ামী লীগ ভারতের টাকা এনে নির্বাচন করেছে এমন তথ্যকে সমর্থন করে তিনি বলেন, সরকার ভারতের কাছ থেকে টাকা এনে নির্বাচন করেছে বিধায় ভারতের স্বার্থ রক্ষার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে চলেছে, যাতে আগামীতে আবারো তাদের মদদে ক্ষমতা দখল করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে যদি দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি বর্তমান সরকার করে তবে এদেশের জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না।
তাছাড়া ইকোনোমিস্ট পত্রিকার রিপোর্টের সাথে সম্মতি জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, সরকার আবারো জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই নিজ দলের অধীনে নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলার প্রসঙ্গে মোশররফ প্রধানমন্ত্রীকেই জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। কারণ পঞ্চদশ সংশোধনী জনগণের রায় নয় বরং আওয়ামী লীগের দলীয় হীন স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ আজ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, এর পরিণতি সংঘাত। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। কারণ জনগণ দেখছে দ্যা ইকোনমিস্টের বক্তব্য, দ্রব্যমূল্য অনহনীয় অবস্থা, আইনজীবীরা কারাগারে, বাংলাদেশের উপর শকুনের আনাগোনা চলছে।
জাগপা সভাপতি সফিউল আলম প্রধান বলেন, ইকোনোমিস্টের রিপোর্টই প্রমাণ করে সরকার নির্বাচনে কিভাবে জিতেছে? আমরাও একই কথা বলেছি। তাতে কাজ হয়নি বরং মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ভারতের সাথে গোপন চুক্তি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে যা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ পার্লামেন্ট সদস্যও জানেন না। মনমোহন সিং ৬ সেপ্টেম্বর আসছেন বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করতে। এ জন্য তারা বিরোধী দলকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় নেমেছে। যাতে বিরোধীদল আন্দোলন করতে না পারে। আর তাই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে তারেক জিয়া ও কোকোকে বিভিন্নভাবে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানা যাচ্ছে। জনগণ এ গজব থেকে মুক্তি চায়। জনগণই এর প্রতিবাদ অবশ্যই জানাবে।
স্বদেশ জাগরণ পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য এডভোকেট খোরশেদ আলম মিঞা, রফিক সিকদার, অর্পনা রায় দাস প্রমুখ।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম /এইচএস/এম/সস/১৫.৪৩ঘ.)