Powered By Blogger

শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১১

ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী, আওয়ামী পৃথিবী !!!

একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের সীমানা হতে বাংলাদেশ নামক দেশটার অবস্থান কতটা দূরে তা মাপতে বোধহয় যন্ত্রপাতির দরকার হবেনা। চোখ কান খোলা রেখে ৩৬০ ডিগ্রী পরিধিতে তাকালে এর দূরত্ব ও নৈকট্য দুটোই অনুভব করা যাবে। অস্বাভাবিক রকম ভারী হয়ে গেছে এখানকার বাতাস। রাজনীতি ও অর্থনীতির পাশাপাশি সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থার প্রতি ধাপে এখানে রাজত্ব করছে সীমাহীন অবক্ষয় আর নজিরবিহীন হতাশা। সরকার বলতে কেউ একজন আছে তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায় কেবল কথায়। কথার সিফিলিসে আক্রান্ত রাজনীতির প্রভাব এখন দেশের শাসন ও বিচার ব্যবস্থায়। ‘তিনে একে তিন, তিন দ্বিগুণে ছয়, ছয় দ্বিগুণে বার‘, ছোটবেলায় উচ্চস্বরে নামতা পড়ার মত ওরা সবাই নামতা পড়ছে মুক্তিযুদ্ধ, ঘোষক আর পিতার নামে। দেশপ্রেম নামক শূন্য কলসের অর্কেস্ট্রা দিয়েও কিন্তু ঢেকে রাখা যাচ্ছে না সামাজের আসল চেহারা। এরই মধ্যে পশু নিধনের মত লাশ টুকরা নিয়ে শুরু হয়েছে বন্য প্রতিযোগিতা। দু টুকরা হতে সংখ্যাটা এরই মধ্যে দশ অতিক্রম করে গেছে। মৃত লাশকে টুকরা করা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে , লেনাদেনার কারণে, প্রেমের কারণে, সামান্য মোবাইল ফোনের কারণে। খবরে জানা গেল মেডিক্যাল কলেজের দুই হবু ডাক্তার তাদের বন্ধুকে টুকরা করে মাটিতে পুতে রেখে তার উপর কঁচুগাছ লাগিয়ে দিয়েছেদুদিন আগে লঞ্চ ডুবে লাশ হল কয়েক ডজন। যে শান্তিচুক্তির জন্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথা সে ’শান্তির’ রাজ্যই এখন মৃতপুরী। এখানেও লাশ পরছে, পাশাপাশি রাজত্ব করছে ভয়, ভীতি আর সন্ত্রাস নামক নোবেলিয় বিভীষিকা। ব্যর্থ রাষ্ট্রের সংজ্ঞা বলতে কোন কিছুর অস্থিত্ব আছে কিনা জানিনা, তবে আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে সমসাময়িক বাংলাদেশ হতে পারে এর নিকৃষ্টতম উদাহরণ।
মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবক্তা খোদ মার্কিন মুলুকেও অর্থনীতি ততটা নিয়ন্ত্রণহীন নয় যতটা এক নেতার এক দেশ বাংলাদেশে। সরকারীভাবে বলা হচ্ছে এ দেশে অর্থনীতির মূল নিয়ন্ত্রক ও চালিকাশক্তি সর্বদলীয় সিন্ডিকেট। দেশের শেয়ার বাজার হতে এই সিন্ডিকেটের দল লুটে নিয়েছে বিশাল অংকের টাকা। তদন্তে ধরা পরলেও এদের নাম উচ্চারণ করতে বাধা, কারণ এরা আমাদের জামাই। দুর্দিনে এই জামাইদের পকেটের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় ক্ষমতার সিঁড়ি পাকা করার চুন সুরকির জন্যে। দুদিন আগে সরকার প্রধান সদম্ভে ঘোষনা দিলেন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার। তিন দিকে ভারত আর একদিকে বঙ্গোপসাগরের বিশাল ঢেউ ডিঙ্গিয়ে তৃতীয় কোন দেশ অথবা শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে আসবে কিনা তা সরকার প্রধানই বলতে পারবেন, তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বাদে অন্য দলের ক্ষমতায়নের অর্থ যদি স্বাধীনতা বিপন্ন হয় তা হলে সরকার প্রধানের কঠোর হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া মানুষের জন্যে স্বাধীনতার মানে শুধু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় পাঠিয়ে শেখ নামের পূজা করা নয়, বরং অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যু নিশ্চিত করা। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল চরমভাবে ব্যর্থ এবং স্বাভাবিকভাবেই এর মূল্য গুনতে হবে সামনের নির্বাচনে। রুটি-হালুয়ার উচ্ছিষ্ট ছিটিয়ে কিছু মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা গেলেও গোটা জাতিকে দাস বানানো যায়না, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতেও নাকি অলিখিত পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডক্টর মোহম্মদ ইউনূসের কারণে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সাথে সর্ম্পকের অবনতি হয়েছে এটা কোন লুকোচুরির বিষয় নয়। কদিন আগে মার্কিন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি কোন রাখঢাক না করেই এর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। বলা হচ্ছে পরাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনিকে যুক্তরাষ্ট্রর ভিসা দেয়া হয়নি একই কারণে। খোদ প্রধানমন্ত্রীরও এ মাসে ঐ দেশে যাওয়া কথা ছিল, কিন্তু তাতেও দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। প্রধানমন্ত্রী রাগে ক্ষোভে রাষ্ট্রদূত সহ মার্কিন দেশের যে কোন প্রতিনিধির সাথে অসহযোগিতামূলক মনোভাব দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে শত্রুর শত্রু আমার মিত্র এ পলিসি মাথায় রেখে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আজকের দুনিয়ায় রাশিয়া ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার বৈ অন্যকিছু নয়। শেখ মুজিবের স্বপ্ন সমাজতন্ত্র এখন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। ১৭ কোটি মানুষ নিয়ে আস্তাকুঁড়ের দিকে পা বাড়ালে পরিণতি কতটা ভয়াবহ হবে তা দেখার জন্যে আমাদের বোধহয় কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। ফজলুল হক আমিনীকে মাঠে ছেড়ে সরকার পশ্চিমা দুনিয়ায় যে ম্যাসেজ পাঠাতে চাচ্ছে তা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য, কারণ সরকারের অভ্যন্তর হতেই খবর পাচার হয়ে যাচ্ছে। দইয়ে ভেজাল দেখিয়ে একজন নোবেল বিজয়ীকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে আর মাওলানা আমিনী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে সদম্ভে রাজনীতির মাঠ গরম করছেন এর রহস্য বুঝতে বিদেশীদের এখন আর অসুবিধা হয়না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে দেশ মৌলবাদীদের আখড়ায় পরিনত হবে আমিনী ফ্যাক্টর দেখিয়ে বিদেশীদের কাবু করার এই নাটক দলটি ইতিপূর্বেও মঞ্চস্থ করেছিল, এ যাত্রার এর ফলাফল শূন্য। তথ্যপ্রবাহের যুগে বিদেশীদের ধোকা দেয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়, বাংলাদেশের চোর রাজনীতিবিদদের তা বুঝার সময় এসেছে। এক কথায় ছোট হয়ে আসছে ভাওতাবাজির দুনিয়া, আওয়ামী দুনিয়া। 
http://www.nagorikblog.com/node/4636 

সিলেটে UniPay2U বিনিয়োগকারীদের আল্টিমেটাম

ইউনিপে টু ইউ’র সিলেটের কয়েক হাজার গ্রাহক এবার রাস্তায় নেমেছেন। বিনিয়োগ ফেরতের নিশ্চিয়তা ও গ্রাহকদের জব্দকৃত ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল তারা নগরীর চৌহাট্টাস্থ শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। সমাবেশ থেকে তারা তাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল সকালে ইউনিপে টু ইউ’র সহস্রাধিক নারী-পুরুষ গ্রাহক শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মো. মকন মিয়া, সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ইউনিপে টু ইউ সিলেট গ্রাহক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ, ইউনিপে গ্রাহক গোলাম সারওয়ার, বদরম্নল ইসলাম শাহজাহান, এনামুল ইসলাম, আবদুস সালাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারই ইউনিপে টু ইউকে দেশে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে। সরকারের অনুমতি থাকায় গ্রাহকরা কোম্পানিটিতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এখন গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করায় সিলেটের কয়েক হাজার গ্রাহক পথে বসার উপক্রম হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্ট খুলে না দিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তারা।
মানববন্ধন ও সমাবেশ প্রসঙ্গে ইউনিপে টু ইউ’র সিলেট গ্রাহক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া ও ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামী বুধবার তারা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দেবেন। স্মারকলিপি প্রদানের এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার কোনো উদ্যোগ না নিলে তারা কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নেমে তারা দাবি আদায় করবেন।

আমি বেঁচে থাকতে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে দেব না ॥ কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, ঘোষক হতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বানালে তাকে বিতর্কিত করা হবে, দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের মধ্যে যাদের বুদ্ধি নেই তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চান। সোমবার নিজ দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বলেন, আগামী নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল ও কমিশন গঠন করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা আছে বলে আমার মনে হয় না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা থাকবেন, আমি বেঁচে থাকতে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে দেব না। বঙ্গবন্ধু যে স্কুলের শিৰক সেই স্কুলের দফতরি জিয়া এ বিষয়টি সকলের বুঝতে হবে। বঙ্গবন্ধু ১৬ কোটি মানুষের জাতির পিতা। তিনি আওয়ামী লীগের একা নন। আমি বঙ্গবন্ধুকে জনক থেকে ঘোষক বানাতে দিতে পারি না। বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্র করে ছোট করা ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ঘোষক থেকে পিতার সম্মান অনেক বেশি। এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ নেতাদের বুঝতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে মেজর জিয়াউর রহমান যে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিলেন তা অস্বীকার করা যাবে না এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামী লীগের লোকজন আমার বাসায় হামলা করে। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, তাঁরা আমার প্রতি কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীকে লেলিয়ে দিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে আমার সমালোচনা করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি তিনি বলেন, বেকুবের মতো আমাকে গালাগালি করবেন না।
সরকার জনপ্রিয় হতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে হাত দিয়েছে এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরম্নদ্ধে আমার আজীবন সংগ্রাম চলবে। দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন তিনি। বলেন, রাজনীতির ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে মানুষ এখন ভাল-মন্দ ভুলে গেছে। দেশের অবস্থা ভাল নয়। বিদু্যত, পানি, গ্যাস, যানজটসহ নাগরিক সঙ্কট চরমে উঠেছে। তা মোকাবেলায় সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে আওয়ামী লীগ ৰমতায় এসে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। রাজনৈতিক নেতারা জাতিকে প্রতারকের জাতিতে পরিণত করেছে বলেও মনত্মব্য করেন তিনি।
তিনি সরকারের নানা বিষয়ে সমালোচনা করে বলেন, ‘৭১ সালে মা-বোনদের ইজ্জত রৰায় বিভিন্ন স্থানে ছুটে গেলেও এখন প্রতিদিন তারা ইজ্জত হারালেও আমাদের কিছুই করার নেই। জাতি আজ কষ্টে জ্বলে পুড়ে মরছে। আজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মান নেই। বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কেউ সম্মান দিয়ে কথা বলে না। তিনি বলেন, লুটে খাওয়ার জন্য দল করিনি। লোভ থাকলে গুলশান মতিঝিলে জমি দখলসহ অনেক কিছুই করতে পারতাম। কেউ বাধা দেয়ার ছিল না। মন্ত্রিপরিষদে নারীরা প্রভাবশালী। প্রধান দু’দলের নেত্রী নারী তবুও নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী হারলেও তাদের বুদ্ধিজীবী ও দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। আমাদের নিজেদের কারণে আগামী ৫০ বছর পর ‘পাকবাহিনী’ ভুল এই শব্দটি হবে পবিত্র আর মুক্তিযুদ্ধ হবে অপবিত্র। কারণ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরম্ন করে বুদ্ধিজীবীসহ গণমাধ্যমে পাকিসত্মানী হানাদার বাহিনীকে পাকবাহিনী বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি অপবিত্র বিষয়কে পবিত্র করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মনত্মব্য করেন তিনি।
মহাজোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহাজোটে এরশাদকে যেদিন নেয়া হয়েছে সেদিন থেকে আওয়ামী লীগের সম্মান চলে গেছে। যিনি ডা. মিলন ও নূর হোসেন হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত। মহাজোট এখন মহাজট বলেও মনত্মব্য করেন তিনি।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, দেশ এখন বিপজ্জনক ক্রানত্মিকাল অতিক্রম করছে। গ্যাস, পানি, বিদু্যতসহ নানা সঙ্কটে আগামী দেড় বছর পর বিৰুব্ধ মানুষ রাসত্মায় নেমে আসবে। কিন্তু সমাধানে সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। আলেম ওলামাদের সহযোগিতা ছাড়া নারীনীতি বাসত্মবায়ন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বাদ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, মনমোহন দেবনাথ, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।