Powered By Blogger

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১১

সংবাদপত্রের কালো দিবস সেই ১৬ জুন আজ !!!

আজ ১৬ জুন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের সেই কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাকশালের দর্শন অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুটি মাত্র সংবাদপত্রের (দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ অবজারভার) ডিক্লারেশন বহাল রেখে সব পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেন। পরে ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ টাইমসকে নতুনভাবে ডিক্লারেশন দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট চারটি পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে অব্যাহত রাখেন। এর আগে তিনি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করেন এবং এ ব্যবস্থাকে তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করেন। এই বিপ্লব সফল করতেই তিনি চারটি দৈনিক পত্রিকা রেখে সব দৈনিক পত্রিকা বন্ধ করে দেন। ফলে কয়েক হাজার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকর্মী বেকার হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের এই বিপ্লবী হস্তক্ষেপে রুদ্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, গোষ্ঠীর স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা। তখন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকারের এই নির্যাতনমূলক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করার সাহস কারও হয়নি। তবে পরের বছর থেকে সাংবাদিক সমাজ এই দিনটিকে সংবাদপত্রের কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
এদিকে কালের আবর্তে এবার এমন সময়ে দিনটি আমাদের মাঝে এসেছে যখন সেই আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতাসীন। বর্তমান অবস্থায় তারা সেই সময়কার একদলীয় বাকশালী নীতিমালা গ্রহণ না করলেও কার্যত দেশে নবরূপে বিরাজ করছে সেই বাকশালী ব্যবস্থা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নানা কৌশলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করছে এবং সাংবাদিকদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি টিভি চ্যানেল ওয়ান এবং পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচাররত যমুনা টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। আর সত্য প্রকাশের অপরাধে গত বছরের ১ জুন এই সরকার বাকশালী কায়দায় দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে বর্বরোচিত নির্যাতন চালায়। এই ঘটনা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে দৈনিক আমার দেশ পুনঃপ্রকাশিত হয়। অন্যদিকে প্রায় ১০ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন