Powered By Blogger

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১১

যুবলীগ নেতারা ঘুরছেন দেশে দেশে নোবেল পুরস্কারের জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে আন্তর্জাতিক লবিং

নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে সংবাদদাতাঃ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার মনোনয়ন তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য চলছে জোর আন্তর্জাতিক লবিং। বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এজন্য আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টির কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন,
জাপান সহ বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারক ও বুদ্ধিজীবি মহলে বাংলাদেশ সহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা কি ভূমিকা পালন করছেন ধরা হচ্ছে সে সবের বিবরণ।
অতি সমপ্রতি যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাধারণ সম্পাদক মীর্জা আজমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে গেছেন।
এর আগে গত মার্চ মাসে একই উদ্দেশ্যে তারা বস্টন ও নিউইয়র্ক সফর করেন।
এই টীমে আরো রয়েছেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, অথনীতিবিদ আবুল বারাকাত ও সাংবাদিক বুরহান কবির। জনগনের ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনার শান্তি দর্শন শিরোনামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরা হচ্ছে বিশ্বের নীতি নির্ধারক ও আইন প্রনেতাদের কাছে।
গত ১৪ জুন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল হিলে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা সাবেক স্পীকার ও বর্তমানে কংগ্রেসে মাইনরিটি লীডার ন্যান্সি পেলোসীর সাথে সাক্ষাত করেন।
একই সময়ে তারা কংগ্রেস সদস্যা শিলা জ্যাকসন লী ও কংগ্রেসম্যান হেনসেন ক্লার্ক, ও ম্যরিল্যান্ড থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ভ্যান হল্যানের সাথেও কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনার রাজনেতিক ইতিহাস ও শানি- প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়টি উপস'াপন করেন।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম শানি- চুক্তি, মৌলবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধীতায় শেখ হাসিনার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উদাহরন হিসেবে তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে যুুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রন জানানোর অনুরোধ জানানো হলে ন্যান্সি পেলোসী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
গত ১৫ জুন বুধবার এই প্রতিনিধি দল লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেছেন। লন্ডনের আইন প্রনেতা সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তারা বিশ্ব শানি- প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার দর্শনের বিষয়টি উপস'াপন করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে জাপান সফর করে সেখানেও একই বিষয় উপস'াপন করা হয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী অন্যান্য দেশেও শেখ হাসিনার শানি- দর্শনের বিষয়টি উপস'াপন করা হবে বলে জানা গেছে। এজন্য যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে বিশেষ দেয়া হয়েছে বিশেষ মিশন।
যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এমন একজন সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, সুদুর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে শেখ হাসিনার শানি- দর্শনকে তুলে ধরার কারণ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণে আমি নিজেও কৌতুহলী ছিলাম এর বিষয়বস' নিয়ে। তবে সাক্ষাতের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, নোবেল পুরস্কারে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করাই মুলত এই প্রয়াসের সার্বিক লক্ষ্য। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস সদস্যের যে কেউ প্রস-াব পাঠাতে পারেন।
নিউইয়র্কে বসবাসরত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ফাজলে রশীদ এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, শেখ হাসিনাকে কিভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ানো যায় এটাই সবকিছুর মুল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম ইতোমধ্যেই বিষয়টি খোলাসা করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে প্রকাশ্যে তিনি বলেছেন, শানি-তে নোবেল দিলে সেটা শেখ হাসিনাকেই দেয়া উচিৎ ছিল। ড. ইউনুস ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় এটা বলেছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ সহ শানি-র পতাকাবাহী হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বে এক নতুন ইমেজ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন।
মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের আস-ানাকে ভেঙ্গে দিয়েছেন। এখন তাঁকে শানি-র দূত হিসেবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে সম্মান জানানো উচিৎ।
নোবেল কমিটি এই বিষয়টি বিবেচনা করবে আমি মনে করি। তিনি বলেন, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যেই নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে এর যথার্থতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। এবিষয়ক কিছু বইপত্র তারা সবাইকে দিচ্ছেন। আমাকেও দেয়া হয়েছে। এব্যপারে আমাদের পক্ষ থেকে যেকোন উদ্যোগের প্রয়োজনন হলে তাতে কার্পন্য করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের মতে যাদের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা মোটেও যথার্থ হয়নি। সূত্রমতে, প্রকাশ্যে যুবলীগকে দিয়ে এই কাজ না করিয়ে এমন লোকদের নিয়োগ দেয়া উচিৎ ছিল যাদের গ্রহণযোগ্যতা ও ইমেজ ভীন্ন। কারণ একাজের জন্য দলীয় লোকের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে অধ্যাপক গওহর রিজভী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স'ায়ী প্রতিনিধি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তারা মন-ব্য করেন।
তাদের মতে, এধরনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ড. নুরুন্নবী, ড. মোহসীন আলী, ড. সিদ্দিকুর রহমান ও অধাপক খালিদ হাসান কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারতেন।
তবে কূটনৈতিক সূত্র সব চাইতে বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে এক্ষেত্রে।
সূত্রমতে, ড. ইউনুস ইস্যুু নিয়ে সরকারের প্রকাশ্য অবস্থানের বিষয়টি যখন সবাই পর্যবেক্ষন করছে তখনই সরকার প্রধানের জন্য নোবেল পুরস্কারের লবিংয়ের বিষয়টি আন-র্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
সূত্রমতে, একাজে জনমত গঠনের জন্য ৩টি বই বের করা হয়েছে। এর একটির ইংরেজী অত্যন্ত দুর্বল বলে মন্তাব্য করেন তারা।


http://www.amadersylhet.com/index.php?option=com_content&view=article&id=2318%3A2011-06-27-20-33-31&catid=68%3Abibid2news

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন